July 2019
tech-newsbd.com

আসছালামু আলাইকুম, বন্ধুরা.
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন।
tech-newsbd.com-এর পক্ষ থেকে আমি খাইরুল ইসলাম (হানজালা).

স্থানটির নাম সেংগসান। এটি চিনের পূর্ব সাংহাইয়ের পাহাড়ে ঘেরা একটি পাথুরে দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত। পরিত্যক্ত এই দ্বিপটি চিনের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বা গ্রামটির আর একটি নাম হলো “হাউটুয়া ওন”। প্রায় ৫০ বছর ধরে  পরিত্যক্ত হয়ে পরে আছে এই গ্রামটি। যার ফলে গ্রামটি এখন সবুজের গ্রাসে বিলীন প্রায়। চারপাশে তাকালে যেন মনে হয় একটি সবুজ বাগান। গাছপালায় ছেয়ে গেছে সবদিক তাই সবুজ আর সবুজের সমারোহ ছড়িয়ে পড়েছে এই গ্রামটিতে। এমনকি রাস্তাঘাটসহ সকল বাড়িঘর ঢেকে যাচ্ছে গাছের অন্তরালে। 

তথ্য মতে, আজ থেকে প্রায় ৫০-৫৫ বছর পূর্বে প্রায় ২হাজারেরও বেশি মানুষ এই গ্রামে বাস করত। কিন্তু তারা হঠাৎ করে গ্রামটি ছেড়ে শহরে আশ্রয় নেয়। তার পর থেকেই গ্রামটি পরিত্যক্ত হয়ে পরে। ফলে জনমানব হীন এই গ্রামটিকে গ্রাস করতে থাকে প্রকৃতি। 

মাত্র  কয়েকবছর আগে এই গ্রামের সন্ধান পাওয়া যায়। কয়েকজন পর্যটক বেড়াতে গিয়ে পথ ভুলে এই গ্রামটিতে উপস্থিত হয়। মূলত প্রায় ৫০-৫৫বছর পর তারাই আবার নতুন করে আবিষ্কার করে গ্রামটিকে। তাদের তোলা ছবি ও গ্রামের বর্ণনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পরে দ্রুত। আর তারপর থেকেই এই গ্রামের সৌন্দর্য দেখতে দলে দলে মানুষ ছুটে যায়। 

ধারনা মতে, এই সন্দুর গ্রামটি পাহাড় কেটেই তৈরি করা হয়েছিলো। এমনকি গ্রামের ছোট ছোট ঘরগুলোও তৈরি করা হয়েছে পাড়ার কেটেই। এ ছাড়া পাহাড়ি এই গ্রামের এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যাতায়তের জন্য সুন্দর করে পাহাড় কেটে রাস্তাও তৈরি করা হয়েছিলো। যা এখনো রয়েছে সেসব রাস্তা। 
  
এই গ্রামের প্রকৃতি এতটাই মনোরম যে, এই গ্রামে গেলে আপনিও মুগ্ধ হয়ে যাবেন। চারপাশে তাকেলে মনে হবে যেন প্রকৃতি তার দুই হাত ছড়িয়ে নিজেকে মেলে ধরেছে এখানে। ঘর বাড়ি থেকে শুরু করে টয়লেট, উঠান, রাস্তঘাট, বাড়ির দেয়াল সবকিছুই যেন ডুবে রয়েছে সবুজের মায়াতে। দেখলে মনে হয় যেন কেউ শখের বসে সুন্দর করে এসব সৃষ্টি করেছে। যদিও বাস্তবতাটা তা নায়। দীর্ঘদিন যাবত পরিত্যাক্ত থাকার কারণে প্রাকৃতিকভাবেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। 

এটি মূলত শহর থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। জলপথে ‘সাংহাই’ থেকে গ্রামতিতে যেতে হলে সময় লাগে প্রায় পাঁচ ঘন্টা। গ্রামটির আয়তন প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার। এখানে যারা ছিল তারা সবাই ছিল জেলে পরিবাবের সদস্য। যারা সবাই একসময় এই গ্রাম চেড়ে চলে যায়। তবে সবাই চলে যায় নি। মায়ার টানে এখনো প্রায় ১০জন গ্রামবাসি রয়ে যায়। এখনও তারা বসবাস করে চলছে সেখানে। তাদেরই মধ্যে একজানে নাম হলো ‘সান আয়ো’। ইয়াংটিজ নদীর পাশের এই সুন্দর গ্রামটি ছেড়ে কেনো সবাই হঠাৎ চলে গিয়ে ছিল তার সঠিক তথ্য জানা যায় ‘সান আয়ো’ এর কাছ থেকে। 

তিনি জানান, তাদের গ্রামটি শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় শহরের সকল সুবিধা থেকে তারা ছিল বঞ্চিত এজন্য শহুরে জীবনের তাগিদে, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শেখানো অন্যান্য নাগরিক সুবিধার কারণে আস্তে আস্তে সবাই গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে পাড়ি জমায়

তবে মজার বিষয় হলো, শীতের সময় এখনো এই গ্রামের অনেকেই ফিরে আসে প্রায় ১০ হাজার জেলে মাছ শিকার করতে চলে আসে এই গ্রামেকারণ শীতকালে এখানে গড় তাপমাত্রা থাকে প্রায় ১৫. সেলসিয়াস তবে জেলেরা মাছ ধরতে ফিরে আসলেও তারা আর এখানে বসবাস করতে চায় না মাছ ধরা শেষে আবার একে একে সবাই চলে যায় শহরের দিকে

পরিত্যক্ত এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির দেয়াল ঢেকে গেছে নানা লতাপাতায় লতাপাতা জড়িয়ে এক নান্দনিক সবুজের সমারোহের সৃষ্টি করেছে চারপাশে এর সৌন্দর্য যে কাউকেই সহজে কাছে টানে আনতে পারেএই গ্রামে যেসব পর্যটক আসেন তাদেরকে গ্রাম ঘুরিয়ে দেখানো দায়িত্বটা পালন করে থাকেন সান আয়োতিনি বলেন, কাজে তিনি খুব মজা পান

গ্রামের ঢুকলে মনে হয় সময় যেনো সেখানে থেমে আছে আর আছে প্রকৃতির দুহাত বাড়িয়ে থাকা হাতছানি ছোটো ছোটো সবুজ লতায় আবৃত হয়ে থাকা সব ঘরবাড়ি আঙ্গুরের লতার মতো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শাখাগুলো পরিত্যক্ত বাড়িগুলোকে জড়িয়ে রেখে সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গ্রামটি নিয়ে বেশ কিছু ছবি ভিডিও ছড়িয়ে পরেছে প্রায় প্রতিদিনই দূর দুরান্ত থেকে মানুষ এই গ্রামে ছুটে আসছে আপনার যদি কখনো চীনে যাওয়ার সুযোগ হয় তাহলে এই গ্রামে একবার ঘুরে আসতে ভুলবেন না!

[বন্ধুরা, পোস্টটি কেমন হলো কমেন্টস করে জানাবেন। আপনি যদি টেকনোলজি বিষয়ে কিছু জানতে চান অথবা আমাদের পোস্টে যদি কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অবশ্যই কমেন্টস বক্সে “ভূল তথ্যটি উল্লেখ করবেন” ইনশাল্লাহ খুব দ্রুতই সেটা সমাধান করা হবে। আপনার একটি কমেন্টস আমাদেরকে আরো ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরণা জাগাবে। বিশ্বের সকল প্রকার অজানা ও রহস্যময় তথ্য সম্পর্কে জানতে প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে ভিজিট করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন।]

ওয়েব সাইট লিংকTechnewsbd.com
ফেসবুক পেইজ লিংকOjana Totto BD

tech-newsbd.com

আসছালামু আলাইকুম, বন্ধুরা.
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন।
tech-newsbd.com-এর পক্ষ থেকে আমি খাইরুল ইসলাম (হানজালা).
বন্ধুরা আজ আমরা জানব, বিশ্বের ১০টি দেশের ১০টি অদ্ভুত ট্রাফিক আইন সম্পর্কে।  

১। অভিশাপ দিলে শাস্তি হিসেবে কারাদন্ড- মারিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র।

আমাদের মধ্য এমন অনেকে আছে যে, বিভিন্ন কারণে অন্য মানুষকে অভিশাপ দেয়। যদিও এটা কোন ভাল কাজ নয়। তবে আপনি কি কখনো শুনেছেন যে, এটার জন্য কোন আইন থাকতে পারে ? আপনি যদিও না শুনে থাকেন, যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটা আইন রয়েছে- জনসমক্ষে কাউকে অভিশাপ দিলে হবে কারাদন্ড। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের অঞ্চলে চালু রয়েছে এই অদ্ভুত আইনটি। বিশেষ করে গাড়ি চালানোর সময় কাউকে অভিশাপ করার অভিযোগ পাওয়া গেলে ১০০ মার্কিন ডলার জরিমানা বা ৯০ দিনে কারাদন্ড দেওয়া হবে। 

২। মাতাল হওয়া চলবে না- কোস্টারিকা। 

মদ একটি অভিশাপ্ত জিনিস। আমরা জানি অতিরক্ত মদ খেলে কারোই মাস্তিক বিগরিয়ে যায়। আমাদের দেশে প্রায় একটা কথা শুনা যায় যে, গাড়ি চালকরা মদ পান করে। এ কথাটা কতটা সত্যি তার সঠিক হিসাব আমাদের জানা নাই। কিন্তু আপনি শুনে অবাক হবেন যে, কোস্টারিকার প্রায় ৭৫% গাড়ি চালকের রক্তে মদ্য বা অ্যালকোহল পাওয়া যায়। তাই এই দেশে মদ্য পান করা কোনো বিষয় নয়, মদ্য পান করে যদি মাতাল হয়ে যায় তবেই হবে জরিমানা ও কারাদন্ড। 

৩। গাড়িতে ময়লা নিয়ে বের হলেই জরিমানা- রাশিয়া। 

আপনার গাড়ি, আপনি যেভাবে খুশি ব্যবহার করতে পারেন তাই না ? হ্যা এটা সত্য তবে রাশিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আপনার নিজের টাকা দিয়ে কেনা গাড়ি বলেই সেটা অপরিষ্কার রাখবেন, এমনকি সেটা নিয়ে রোডে বের হবেন। তাহেল আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে দুই হাজার রুব্ল। হ্যা বন্ধুরা, রাশিয়াতে এমন একটি আইন চালু রয়েছে, যেখানে ময়লা গাড়ি নিয়ে বের হলেই আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে।

৪। চালক মাতাল হলে জরিমানা হবে যাত্রীদের- জাপান। 

অবাক হলেও এটা সত্য। জাপানে চালু রয়েছে এমন একটি অদ্ভুত আইন। আপনি যদি মনে করেন গাড়ির পেছনের ছিটে বসে আসেন বলেই সব ঠিকঠাক আছে? তাহেল হয়তো জরিমানা গুনতে হবে আপনাকেও। আপনার চালক মাতাল কি না, তার দায়-দায়িত্বও আপনার। জাপানের ট্রাফিক আইন অনুযায়ী, চালক মাতাল হলে জরিমানা দিতে হবে যাত্রীকেও। সুতরাং আপনি যদি জাপান কখনো জাপানে ভ্রমণ করেন, তাহলে গাড়িতে চড়ার আগে খোজ নিয়ে দেখুন আপনার চালক মাতাল কি না। 

৫। পথে তেল ফুরালেই বিপদ- জার্মান।

আপনি হয়তে দূরের পথে ঘুরতে বেরিয়েছেন, তবে গাড়িতে তেমন ফুয়েল বা তেল নেই। ভাবছেন, পথে মধ্যে কোথাও থেকে নিয়ে নিবেন। বাংলাদেশে তা সম্ভব, কিন্তু জার্মানীতে তা সম্ভব নয়। জার্মানীর ট্রাফিক আইন অনুযায়ী দূরপাল্লার পথে ভ্রমণকালে জ¦ালানী ফুয়েল বা তেল শেষ হয়ে গেলে জরিমানা দিতে হবে। অতএব, কোথাও বের হবার আগে চেক করুন আপনার গাড়িতে যথেষ্ট পরিমাণ জ¦ালানী আছে কি না।   

৬। খালি গায়ে গাড়ি চালালে সোজা যাবেন জেলে- থাইল্যান্ড। 

বন্ধুরা কি ভাবছেন, আপনার গাড়ি আপনি চালাবেন তাতে কার বাবার কি যায় আসে ? আপনি বাংলা দেশি তাই এ কথাটা খুবই স্বাভাবিক।  তবে আপনি যদি থাইল্যান্ডের অধিবাসি হন তাহলে আর সে কথা বলার উপায় নেই। কারণ থাইল্যান্ডে গাড়ি চালানোর সময় গায়ে জামা থাকা ব্যধ্যতামূলক। আর যদি কোন কারণে খালি গায়ে গাড়ি চালান তাহলে আপনাকে গুনতে হবে জরিমানা। 

৭। পথ না চেনে বেরোলেও জরিমানা-যুক্তরাষ্ট্র। 

ধরুন আপনি এক জায়গায় যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বের হলেন, যদিও জায়গাটা খুব বেশি চেনেন না। তাই গাড়িটা থামিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছে পথের নির্দেশনা জানতে চাইলেন। ভাবছেন পুলিশ আপনাকে সহায়তা করবে ? ব্যপারটি কিন্তু মোটেও তা নয়। বরং আপনাকে সাহায্য করার বদলে উল্টো হাজতে নিয়ে ভড়বে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী পথ না জেনে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া ভয়াবহ অপরাধ। ফলে আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে। তাই কোথাও বের হওয়ার আগে ভাল করে ম্যাপ দেখে, মানুষ জনকে জিজ্ঞেস করে রাস্তা জেনে নিন।

৮। দিনের বেলাতেও বন্ধ করা যাবে না গাড়ির হেডলাইট- সুইডেন।

হোক সে উজ্জ্বল দিন অথবা রাত, গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শীতকোরানো অবস্থায় গাড়ির হেডলাইট আপনি কখনো বন্ধ করতে পারবেন না। বিষয়টা আপনার কাছে অদ্ভুত মনে হলেও সুইডেনে ২৪ ঘণ্টাই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখার নিয়ম রয়েছে। যদিও সুইডেনের তীব্র শীতে হয়তো এ নিয়মটি ঠিক, কিন্তু জুন মাসে আবহাওয়া ভালো থাকলেও এ নিয়মই সেখানে মানতে হয় সব সময়।

৯। খেতে খেতে গাড়ি চালানো যাবে না- সাইপ্রাস।

সাইপ্রাসে গাড়ি চালানোর সময় খাওয়া বা কোনো কিছু পান করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গাড়ি চালানোর সময় হাঁটুর ওপর খাবার রাখা ট্রাফিক আইনের লঙ্ঘন। এ জন্য জরিমানা গুনতে হতে পারে। অতএব খেতে খেতে গাড়ি চালাবেন তো সোজা যাবেন হাজতে।

১০। পুরনো আন্ডারপ্যান্ট দিয়ে গাড়ি মোছা যাবে না- সান ফ্র্যান্সিস্কো, যুক্তরাস্ট্র।



যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে গাড়ি ধোয়ার পর পুরোনো আন্ডারওয়্যার বা অন্তর্বাস দিয়ে গাড়ি মোছা হলে ট্রাফিক আইন ভাঙা হয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। তবে মজার বিষয় হলো গাড়ি মোছার জন্য যদি কেউ নতুন আন্ডারওয়্যার ব্যবহার করে তাহলে কোন সমস্যা নাই।

[বন্ধুরা, পোস্টটি কেমন হলো কমেন্টস করে জানাবেন। আপনি যদি টেকনোলজি বিষয়ে কিছু জানতে চান অথবা আমাদের পোস্টে যদি কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অবশ্যই কমেন্টস বক্সে “ভূল তথ্যটি উল্লেখ করবেন” ইনশাল্লাহ খুব দ্রুতই সেটা সমাধান করা হবে। আপনার একটি কমেন্টস আমাদেরকে আরো ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরণা জাগাবে। বিশ্বের সকল প্রকার অজানা ও রহস্যময় তথ্য সম্পর্কে জানতে প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে ভিজিট করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন।]

ওয়েব সাইট লিংকTechnewsbd.com
ফেসবুক পেইজ লিংকOjana Totto BD

tech-newsbd.com

আসছালামু আলাইকুম, বন্ধুরা.
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন।
tech-newsbd.com-এর পক্ষ থেকে আমি খাইরুল ইসলাম (হানজালা).

বিজ্ঞানের ইতিকথা সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে “বিজ্ঞান আসলে কি?” অথবা “বিজ্ঞান কাকে বলে?”.

এক কথা বিজ্ঞান হলো কোন বিষয় সম্পর্কে সুসঙ্গত জ্ঞান। মানুষ যখন কোন বিষয় জানার আগ্রহ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, এবং বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে ঐ বিষয়ের বিশেষ কিছু তথ্য সম্পর্কে অবগত হয় তাকেই বিজ্ঞান বলে। অর্থাৎ বিজ্ঞান হলো অজানা কোন বিষয়ের সম্পর্কে জানার যে প্রক্রিয়া বা জ্ঞান তাকে বিজ্ঞান বলে। 

বিজ্ঞানের ইতিকথা বা ইতিহাস

বিজ্ঞানের শুরুটা প্রাচীন সভ্যতার মতোই পুরোনো। বিজ্ঞান জন্মের পেছনে প্রথম যে বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় তাহলো অজানার প্রতি জানার আগ্রহ বা প্রয়োজন। একটা প্রবাদ আছে যে প্রয়োজনই উদ্ভাবনে জনক। একটা সয়ম ছিল মানুষের জীবনযাপন ও চিন্তাধারা ছিল নির্দিষ্ট গন্ডির ভিতর। অর্থাৎ মানুষের চাহিদাটাও ছিল খুবই সিমীত। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকল এবং অজানার প্রতি জানার আগ্রহ জন্ম নিতে থাকল প্রকৃত বিজ্ঞানের জন্মটা ঠিক তখন থেকেই। মানবজাতির সেই চেষ্টার ধারাবাহিকতাতেই ধীরে ধীরে আমরা আজকের বিজ্ঞানসম্মত চিন্তাগুলোতে উপনীত হয়েছি। প্রাচীন কালে বিজ্ঞান জন্মানোর ধারাপৃবাহের প্রথম যে ধাপটি লক্ষণীয় বলে ধরা হয় তা ছিল পূরাণ বা Myth.

 প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের মুখে মুখে বিভিন্ন কথা, গল্প, কাহীনির উপাথ্যান তৈরি হয়েছে। যা পরবর্তীতে এ ওকে বলে গেছে, সে বলেছে তার পরের প্রজন্মকে। আর এভাবে প্রত্যেক প্রজন্মে গল্পগুলো একটু একটু করে পাল্টে গেছে, ফলে সেই সাধারণ মানুষের বীরত্বের গল্প-কাহীনিগুলো হয়ে গেছে দেবতাসূলভ এবং সেইগুলোই কিংবদন্তীর রূপ নিয়ে লিপিবদ্ধ হয় পুরাণে। 

একটি ইংলিশ মুভি রয়েছে যার নাম Lord of the rings: Fellowship of the ring. এই মুভির শুরুর দিকে একটা সংলাপ এমন ছিলো যে,- History became legend, legend became myth.(অর্থাৎ পুরোনো ইতিহাসই হয়ে উঠে কিংবদন্তী, আর কিংবদন্তী ঘটনাগুলোই হয়ে গেছে পুরাণ)। লেখক রাহুল সাংকৃত্যায়নের “ভোলগা থেকে গঙ্গা” নামক বইটিতে খুব চমৎকারভাবে পুরাণ তৈরি হওয়ার একটা ধারাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। পাঠকদের মধ্যে যদি কেই বিজ্ঞানের নিদর্শন ও পুরাণের ইতি কথা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে এই বইটা পড়ে নিতে পারেন। 

সে যাই হোক, এসব মিথ বা পুরাণ তৈরি হওয়ার পেছনে প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করাই ছিল সবথেকে মূল উদ্দেশ্য। প্রকৃতিতে সর্বদায় অনেক ঘটনা ঘটে চলছে অতীত কাল থেকে। যেমন- আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়ছে, হঠাৎ হঠাৎ পুরো আকাশ আলোকিত হচ্ছে, মাটিতে বীজ পড়লে সেখান থেকে গাছ যেন দাড়িয়ে পড়ছে, দিনের বেলা চাঁদ ডুবে গেছে, রাতের বেলা সূর্য কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি আরো বিভিন্ন কৌতুহলী প্রশ্ন। এগুলো দেখে মানুষ বরাবরই অবাক হয়েছে। যদিও আমাদের সেই পূর্বপুরুষদের কাছে অতীতের কোনো ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে রাখা ছিলোনা। তাছাড়া তাদের কাছে এমন কোন প্রাকার যন্ত্রপাতি বা বিশেষ কৌতুহলী জ্ঞানও ছিলনা যে, তারা সেটার সঠিক কারণ পরিক্ষা বা পর্যাবেক্ষণ করবে। তারা কম পরিশ্রমে বা কম সময়ে যে ব্যাখ্যাটা দাঁড় করাতে পেরেছিলো, সেটাকেই তারা সাদরে গ্রহণ করেছিলো। সবথেকে বড় কথা হলো সেই সময় এর থেকে ভিন্ন কোন তথ্য গ্রহণ করার মত বিকল্পও ছিল না। তাদের একমাত্র ব্যাখ্যাটাই ছিলো, রহস্যময় এক সত্তার প্রভাব-এমন এক সত্তা যার ক্ষমতা আছে সূর্যকে রাতের বেলা লুকিয়ে ফেলার, মাঠি থেকে গাছ জন্ম দেয়ার বা চাঁদকে একেক সময়ে একেক আকৃতি দেয়ার। আসলে ধর্ম মতে- এ ভাবনাগুলো ছিল সম্পূর্ণ সত্য। কারণ সৃষ্টিকর্তার (আল্লাহর) ইশারা ছাড়া এগুলো কখনই ঘঠা সম্ভব না। তবে, ধর্ম বিবেচনার দিক থেকে তারা সৃষ্টিকতাকে ভাগ করে ফেলে। যা ছিল অবান্তর বিষয়। ফলে তারা প্রকৃতিক ঘঠনাগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন ¯্রষ্টা মানা শুরু করে। যেমন- উর্বরতার দেবী ফ্রেইয়া এবং বজ্রপাতের দেবতা থর। একই রকম দেব-দেবী গ্রীক (Demeter and Zeus), মিশরীয় (Amun or Isis, and Seth), রোমান (Fecunditus or Venus, and Jupiter), বা উপমহাদেশীয় (অদিতি/ভূমি আর ইন্দ্র) পূরাণেও পাওয়া যাবে।   

এখান থেকে প্রাচীন কাহিনীগুলো দু ভাগ হয়ে গেলো। তখন মানুষরা এই ধারণাগুলোকে আঁকড়ে ধরার মাধ্যমে তৈরি হলো এক ভিন্ন ধর্ম। আর প্রাচীন গ্রীসের কয়েকজনের মনে হলো, এই সব ঘটনা বা ধারণাগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। তারা বললেন, সবকিছুকে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। ফলে এই পুরাণকে ভেঙ্গে ফেলার মাধ্যমেই জন্ম নিলো দর্শন এর। 

এরিস্টটলের মতে, খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ অব্দের দিকে পৃথিীবীর বুকে পদাচারণা করে যাওয়া থেলিস হলেন পথম দার্শনিক। তবে একজনের আর্বিভাবের আগে পুরো বিষয়টিই যেন যাপসা ছিলো। তিনি এসে এটাকে একটা শক্ত ভিত্তি দিলেন। আর এজন্য এখানো অনেকে তাকেই প্রথম দার্শনিক বা ফিলোসফার বলে অভিহিত করেন- তার নাম সক্রেটিস। বাস্তবিক অর্থে তার ধারনাগুলো প্রকাশ করা খুব সহজ ছিলো না। আর সেজন্যেই হয়তো সক্রেটিসের নাম ইতিহাসে রয়ে গেছে। প্রকৃত পক্ষে তখন তিনি একটা আগুন জ¦ালিয়ে দিয়েছেলেন, যেটা আজো জ¦লছে। যেটা ছিল র্ধম আর দর্শন, দুটোই প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করতে চাওয়া।  

ধর্ম যেখানে গুরুত্ব আরোপ করেছে নিজেকে সংঘবদ্ধ রূপ দান করতে, পুরাতন ব্যাখ্যাগুলোকে আঁকড়ে ধরতে; দর্শন চেয়েছে কোথাও ভুল হচ্ছে কিনা, সেটাকে চিহ্নিত করতে। স্বভাবিকভাবেই ধর্ম মানুষের কাছে পৌঁছে গেলো খুব দ্রুত। আর দর্শন রয়ে গেলো কেবল ছিদ্রান্বেষীদের হাতে, অবশ্য এর গতি কমলো না। কারণ, দর্শনের ঝান্ডা হাতে নিয়েছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিরা, যেমন- সক্রেটিসের শিষ্য প্লেটো, এবং প্লেটোর শিষ্য এরিস্টটল, এমন আরো অনেকে। ধর্ম পুরনো গল্পগুলোকে নতুন রূরে উপস্থাপন করলো, আর Philosophy (Phil + Sophie = Love + Wisdom) নিজেকে যুক্ত করলো জ্ঞানের ভালোবাসায় নুতন জ্ঞান তৈরির কাজে। আর এভাবেই জন্ম নিল বিজ্ঞানের। 

পরবর্তীতে বিজ্ঞান চিন্তাভাবনা করে হাইপোথিসিস দাঁড় করানোটা ক্ষেত্রে মূল ধারণা ধার করলো দর্শনের কাছ থেকে, কিন্তু নিজেদের মনোনিবেশ করলো সেই হাইপোথিসিসগুলোকে যুক্তি তত্ত্বে দ্বারা প্রমাণ করতে এবং থিওরিতে রূপান্তরিত করতে। আর এই প্রমাণ্য প্রায়স থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করল আমাদের চারপাশের সব কিছুই। বিজ্ঞান বলে- “ আমরা এখানো তেমন কিছুই জানি না এবং সেগুলো নিয়ে গবেষণা করাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব”। 

সূত্র- গুগল

বন্ধুরা, এটাই ছিল বিজ্ঞান জয় যাত্রার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। পোস্টটি পড়ে যদি কিছুটা হলেও বিজ্ঞানের জয় যাত্রা সম্পর্কে ধারণা করতে পারেন তবেই আমার সার্থকতা।   

[বন্ধুরা, পোস্টটি কেমন হলো কমেন্টস করে জানাবেন। আপনি যদি টেকনোলজি বিষয়ে কিছু জানতে চান অথবা আমাদের পোস্টে যদি কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অবশ্যই কমেন্টস বক্সে “ভূল তথ্যটি উল্লেখ করবেন” ইনশাল্লাহ খুব দ্রুতই সেটা সমাধান করা হবে। আপনার একটি কমেন্টস আমাদেরকে আরো ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরণা জাগাবে। বিশ্বের সকল প্রকার অজানা ও রহস্যময় তথ্য সম্পর্কে জানতে প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে ভিজিট করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন।]

ওয়েব সাইট লিংকTechnewsbd.com
ফেসবুক পেইজ লিংকOjana Totto BD


tech-newsbd.com

আসছালামু আলাইকুম, বন্ধুরা.
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন।
tech-newsbd.com-এর পক্ষ থেকে আমি খাইরুল ইসলাম (হানজালা).

প্রতিটি ধর্ম বিশ্বাসী মানুষ বিশ্বাস করে যে, মানুষসহ সকল প্রাণিজগৎ ও এই মহাবিশ্ব আমাদের সৃষ্টিকর্তা (অর্থাৎ আল্লাহতালা) সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু আমরা এটাও জানি যে, অনেক বিজ্ঞানীরাই ধর্ম বিশ্বস করে না। তাই তারা পৃথিবীর আদি থেকেই পৃথিবীতে প্রানের উদ্ভবের উৎসের খোজে বেরিয়েছে। ফলে তারা পদে পদে নানা বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়েছে।
বন্ধুরা, চলুন জেনে নেয়া যাক পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণা ও মতামত। 

বিজ্ঞানীদের মতে- পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের উদ্ভব হয় প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি বছর আগে। কিন্তু কিভাবে হয়েছে ছিল এই প্রাণের উদ্ভব এই বিষয়টি এখনো তাদের কাছে কুয়াশায় ঘেরা রহস্যের মতে। প্রাণের উদ্ভব সম্পর্কিত একটি গ্রহণযোগ্য তত্ত্ব এখনো উপস্থাপন সম্ভব হয় নি। একগুচ্ছ নিষ্প্রাণ যৌগ থেকে কিভাবে প্রাণের উৎপত্তি হয় সেটা আজও রহস্যময়। শতকোটি বছর পরে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটা খুব সহজও নয়। 

প্রায় ৩০০ কোটি বছর আগের পৃথিবী কেমন ছিলো সেটা অনুধাবন করাটাও বেশ কষ্টসাধ্য। বর্তমানে পৃথিবীতে যেসব জৈব অণুসমূহের উপস্থিতি পাওয়া যায় সেগুলোর দিয়েই তারা প্রায় ৩০০ কোটি বছর আগে প্রাণের উদ্ভবের একটা ধারণা পেতে চেষ্টা করছে। 

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এধরনের একগুচ্ছ জৈব অনু থেকে কিভাবে প্রাণের উদ্ভব হতে পারে তার একটা মডেল দেখিয়েছেন। জীবকোষে বিদ্যমান এই অণুগুলোকে আণবিক পর্যায়ের মেশিন বা অণুযন্ত্র বলা যায়। এই অনুগুলো এককভাবে তেমন সক্রিয় নয়, কিন্তু যদি এগুলোকে চর্বি জাতীয় বস্তুর সাথে যুক্ত করা হয় তাহলে সমন্বিতভাবে বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ধরনের রাসায়নিক সক্রিয়তা বেশ আকর্ষনীয় ঘটনা এবং এই ধরনের ঘটনার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব সম্বন্ধে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। শুধু তাই না, এ ধরনের গবেষণা অন্যান্য গ্রহের প্রাণের উদ্ভব ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রেও উল্ল্যেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে তারা জানায়। 

১৯৭৮ সালে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী তিনজন রসায়নবিদ- ডোনাল্ড জে. ক্র্যাম, জীন ম্যারি লেন ও চার্লস জে. পেডারসেন একটি প্রবাহ চিত্রের মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে কিভাবে বেশকিছু জটিল অণু পরষ্পরের সান্নিধ্যে এসে নিজেই একটি মেশিনের মতো যুক্তহতে পারে এবং নিখুতভাবে কাজ করতে পারে। এভাবে যুক্ত হয়ে এই অণুগুলো বিশেষায়িত সব জটিল কাজ করতে পারে। তাই এই অণুগুলোর নাম রাখা হয় অণুযন্ত্র।  
একটি মেশিন যেমন ছোট ছোট অনেকগুলো কলকব্জা দিয়ে গঠিত যেগুলো এককভাবে হয়তো কোনো কাজ করতে সক্ষম না, কিন্তু একসাথে এবং বিশেষভাবে পরস্পর যুক্ত হয়ে যখন মেশিন তৈরি হয় তখন অনেক জটির কাজও সেটি দিয়ে করা সম্ভব হয়। পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রতিটি জীবকোষ এধরনের অসংখ্য অতি ক্ষুদ্র আণবিক মেশিন দিয়েই গঠিত। এই সব মেশিনের সম্মিলিত কর্মকান্ডের মাধ্যমেই একটি জীবকোষ পরিচালিত হয়। সম্পূর্ণ জীবদেহ আবার প্রতিটি কোষের সার্বিক কর্মকান্ডের ফসল। 

এই গবেষণায় উজ্জীবিত হয়ে রোমা ট্রে বিশ্ববিদ্যায়ের গবেষক প্যাসকেল স্ট্যানো এবং তাঁর সহকর্মীবৃন্দ প্রাণের উৎপত্তি নিয়ে নতুন করে গবেষণা শুরু করেন। সহজবোধ্যতার জন্য তাঁরা ৮৩টি ভিন্ন ধরনের রাসায়নিক যৌগ নিয়ে পানিতে মিশ্রিত করলেন এবং একটি বিশেষ ধরনের প্রোটিন অণু তৈরি করেন। এদের মধ্যে ডিএনএ ও রয়েছে কেননা, প্রোটিন তৈরির মূল নকশা ডিএনএতেই লিপিবদ্ধ থাকে। এই পরীক্ষার জন্য যেই ডিএনএ-এর অংশ নেওয়া হয়েছিল তাতে এমন জেনেটিক কোড ছিলো যেটা জীবদেহে সবুজ আলো নিঃসরণের জন্য দায়ী (জোনাকী যেমন সবুজ আলো নিঃসরণ করে থাকে)।

স্ট্যানো দেখলেন যে প্রতি ১০০০ টি POPC ফোঁটার মধ্যে পাঁচটি ফোঁটায় ৮৩ ধরনের অণুকে একত্রে পাওয়া যায় তাঁর প্রত্যাশা অনুযায়ী এই পাঁচটি ফোঁটার মধ্যে সবুজ আলো নিঃসরণের প্রোটিন তৈরি হয়; সেগুলো থেকে সবুজ আলো নিঃসৃত হতে থাকে যা মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে খুব সহজেই পর্যবেক্ষণ করা যায় তবে স্ট্যানো এবং তাঁর সহকারীবৃন্দ কম্পিউটারে হিসেব করে দেখেছেন যে, POPC ফোঁটার মধ্যে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ৮৩ টি ভিন্ন ধরনের অণুর সম্ভবণা অত্যন্ত ক্ষীণ; ১০০০ টির মধ্যে পাঁচটিতে এই সমাবেশ ঘটার প্রায় কোনো সম্ভবনাই নেই এই ঘটনাটি তাঁদের বুঝতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কেন সম্ভবনা ক্ষীণ হওয়া সত্ত্বেও এই ৮৩ ধরনের অণুকে একত্রে পাওয়া যাচ্ছে এখান থেকেই তাঁরা ভাবছেন যে, হয়তো এই ৮৩ টি অণুর নির্দিষ্ট পরিবেশে নিজেদের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সজ্জিত হওয়ার একটা প্রবণতা আছে, যার ফলে এরা চেষ্টা করে একত্রে সন্নিবেশিত হয়ে প্রোটিন তৈরি করার এই প্রবণতা যদি সত্যিই থেকে থাকে তাহলে প্রাণের উদ্ভবের সময় কিভাবে বিভিন্ন অণু একত্রে যুক্ত হয়েছিলো সেই সম্বন্ধে একটা উপসংহারে আসা সম্ভব হবে

স্ট্যানো এর পরীক্ষায় যদিও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, তবুও তিনি প্রথমবারের মতো দেখিয়েছেন যে, বিভিন্ন অণুযন্ত্রের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমে একটা কোষীয় অবস্থা তৈরি হতে পারে শুধু তাই নয়, বরং এই ধরনের কোষীয় অবস্থান সম্ভবত অবশ্যম্ভাবী এটা নিয়ে আরো গবেষণা হলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে এবং মানুষ প্রাণের উদ্ভবের রহস্য অনুধাবনে অনেক দূর এগিয়ে যাবে

[বন্ধুরা, পোস্টটি কেমন হলো কমেন্টস করে জানাবেন। আপনি যদি টেকনোলজি বিষয়ে কিছু জানতে চান অথবা আমাদের পোস্টে যদি কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অবশ্যই কমেন্টস বক্সে “ভূল তথ্যটি উল্লেখ করবেন” ইনশাল্লাহ খুব দ্রুতই সেটা সমাধান করা হবে। আপনার একটি কমেন্টস আমাদেরকে আরো ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরণা জাগাবে। বিশ্বের সকল প্রকার অজানা ও রহস্যময় তথ্য সম্পর্কে জানতে প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে ভিজিট করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন।]

ওয়েব সাইট লিংকTechnewsbd.com
ফেসবুক পেইজ লিংকOjana Totto BD

[eÜziv, †cvw÷i g~j D‡Ïk¨ n‡jv c„w_ex‡Z cÖv‡bi D™¢e m¤ú‡K© weÁvbx‡`i wKQz e¨vL¨v Zz‡j aiv| †Kvb ag© wek^vmx‡`i †nq Kiv bq|]