কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন।
tech-newsbd.com-এর পক্ষ থেকে আমি খাইরুল ইসলাম (হানজালা).
বন্ধুরা আজ আমরা জানব, বিশ্বের ১০টি দেশের ১০টি অদ্ভুত ট্রাফিক আইন সম্পর্কে।
১। অভিশাপ দিলে শাস্তি হিসেবে কারাদন্ড- মারিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র।
আমাদের মধ্য এমন অনেকে আছে যে, বিভিন্ন কারণে অন্য মানুষকে অভিশাপ দেয়। যদিও এটা কোন ভাল কাজ নয়। তবে আপনি কি কখনো শুনেছেন যে, এটার জন্য কোন আইন থাকতে পারে ? আপনি যদিও না শুনে থাকেন, যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটা আইন রয়েছে- জনসমক্ষে কাউকে অভিশাপ দিলে হবে কারাদন্ড। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের অঞ্চলে চালু রয়েছে এই অদ্ভুত আইনটি। বিশেষ করে গাড়ি চালানোর সময় কাউকে অভিশাপ করার অভিযোগ পাওয়া গেলে ১০০ মার্কিন ডলার জরিমানা বা ৯০ দিনে কারাদন্ড দেওয়া হবে।
২। মাতাল হওয়া চলবে না- কোস্টারিকা।
মদ একটি অভিশাপ্ত জিনিস। আমরা জানি অতিরক্ত মদ খেলে কারোই মাস্তিক বিগরিয়ে যায়। আমাদের দেশে প্রায় একটা কথা শুনা যায় যে, গাড়ি চালকরা মদ পান করে। এ কথাটা কতটা সত্যি তার সঠিক হিসাব আমাদের জানা নাই। কিন্তু আপনি শুনে অবাক হবেন যে, কোস্টারিকার প্রায় ৭৫% গাড়ি চালকের রক্তে মদ্য বা অ্যালকোহল পাওয়া যায়। তাই এই দেশে মদ্য পান করা কোনো বিষয় নয়, মদ্য পান করে যদি মাতাল হয়ে যায় তবেই হবে জরিমানা ও কারাদন্ড।
৩। গাড়িতে ময়লা নিয়ে বের হলেই জরিমানা- রাশিয়া।
আপনার গাড়ি, আপনি যেভাবে খুশি ব্যবহার করতে পারেন তাই না ? হ্যা এটা সত্য তবে রাশিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আপনার নিজের টাকা দিয়ে কেনা গাড়ি বলেই সেটা অপরিষ্কার রাখবেন, এমনকি সেটা নিয়ে রোডে বের হবেন। তাহেল আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে দুই হাজার রুব্ল। হ্যা বন্ধুরা, রাশিয়াতে এমন একটি আইন চালু রয়েছে, যেখানে ময়লা গাড়ি নিয়ে বের হলেই আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে।
৪। চালক মাতাল হলে জরিমানা হবে যাত্রীদের- জাপান।
অবাক হলেও এটা সত্য। জাপানে চালু রয়েছে এমন একটি অদ্ভুত আইন। আপনি যদি মনে করেন গাড়ির পেছনের ছিটে বসে আসেন বলেই সব ঠিকঠাক আছে? তাহেল হয়তো জরিমানা গুনতে হবে আপনাকেও। আপনার চালক মাতাল কি না, তার দায়-দায়িত্বও আপনার। জাপানের ট্রাফিক আইন অনুযায়ী, চালক মাতাল হলে জরিমানা দিতে হবে যাত্রীকেও। সুতরাং আপনি যদি জাপান কখনো জাপানে ভ্রমণ করেন, তাহলে গাড়িতে চড়ার আগে খোজ নিয়ে দেখুন আপনার চালক মাতাল কি না।
৫। পথে তেল ফুরালেই বিপদ- জার্মান।
আপনি হয়তে দূরের পথে ঘুরতে বেরিয়েছেন, তবে গাড়িতে তেমন ফুয়েল বা তেল নেই। ভাবছেন, পথে মধ্যে কোথাও থেকে নিয়ে নিবেন। বাংলাদেশে তা সম্ভব, কিন্তু জার্মানীতে তা সম্ভব নয়। জার্মানীর ট্রাফিক আইন অনুযায়ী দূরপাল্লার পথে ভ্রমণকালে জ¦ালানী ফুয়েল বা তেল শেষ হয়ে গেলে জরিমানা দিতে হবে। অতএব, কোথাও বের হবার আগে চেক করুন আপনার গাড়িতে যথেষ্ট পরিমাণ জ¦ালানী আছে কি না।
৬। খালি গায়ে গাড়ি চালালে সোজা যাবেন জেলে- থাইল্যান্ড।
বন্ধুরা কি ভাবছেন, আপনার গাড়ি আপনি চালাবেন তাতে কার বাবার কি যায় আসে ? আপনি বাংলা দেশি তাই এ কথাটা খুবই স্বাভাবিক। তবে আপনি যদি থাইল্যান্ডের অধিবাসি হন তাহলে আর সে কথা বলার উপায় নেই। কারণ থাইল্যান্ডে গাড়ি চালানোর সময় গায়ে জামা থাকা ব্যধ্যতামূলক। আর যদি কোন কারণে খালি গায়ে গাড়ি চালান তাহলে আপনাকে গুনতে হবে জরিমানা।
৭। পথ না চেনে বেরোলেও জরিমানা-যুক্তরাষ্ট্র।
ধরুন আপনি এক জায়গায় যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বের হলেন, যদিও জায়গাটা খুব বেশি চেনেন না। তাই গাড়িটা থামিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছে পথের নির্দেশনা জানতে চাইলেন। ভাবছেন পুলিশ আপনাকে সহায়তা করবে ? ব্যপারটি কিন্তু মোটেও তা নয়। বরং আপনাকে সাহায্য করার বদলে উল্টো হাজতে নিয়ে ভড়বে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী পথ না জেনে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া ভয়াবহ অপরাধ। ফলে আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে। তাই কোথাও বের হওয়ার আগে ভাল করে ম্যাপ দেখে, মানুষ জনকে জিজ্ঞেস করে রাস্তা জেনে নিন।
৮। দিনের বেলাতেও বন্ধ করা যাবে না গাড়ির হেডলাইট- সুইডেন।
হোক সে উজ্জ্বল দিন অথবা রাত, গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শীতকোরানো অবস্থায় গাড়ির হেডলাইট আপনি কখনো বন্ধ করতে পারবেন না। বিষয়টা আপনার কাছে অদ্ভুত মনে হলেও সুইডেনে ২৪ ঘণ্টাই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখার নিয়ম রয়েছে। যদিও সুইডেনের তীব্র শীতে হয়তো এ নিয়মটি ঠিক, কিন্তু জুন মাসে আবহাওয়া ভালো থাকলেও এ নিয়মই সেখানে মানতে হয় সব সময়।
৯। খেতে খেতে গাড়ি চালানো যাবে না- সাইপ্রাস।
সাইপ্রাসে গাড়ি চালানোর সময় খাওয়া বা কোনো কিছু পান করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গাড়ি চালানোর সময় হাঁটুর ওপর খাবার রাখা ট্রাফিক আইনের লঙ্ঘন। এ জন্য জরিমানা গুনতে হতে পারে। অতএব খেতে খেতে গাড়ি চালাবেন তো সোজা যাবেন হাজতে।
১০। পুরনো আন্ডারপ্যান্ট দিয়ে গাড়ি মোছা যাবে না- সান ফ্র্যান্সিস্কো, যুক্তরাস্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে গাড়ি ধোয়ার পর পুরোনো আন্ডারওয়্যার বা অন্তর্বাস দিয়ে গাড়ি মোছা হলে ট্রাফিক আইন ভাঙা হয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। তবে মজার বিষয় হলো গাড়ি মোছার জন্য যদি কেউ নতুন আন্ডারওয়্যার ব্যবহার করে তাহলে কোন সমস্যা নাই।
বন্ধুরা আজ আমরা জানব, বিশ্বের ১০টি দেশের ১০টি অদ্ভুত ট্রাফিক আইন সম্পর্কে।
১। অভিশাপ দিলে শাস্তি হিসেবে কারাদন্ড- মারিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র।
আমাদের মধ্য এমন অনেকে আছে যে, বিভিন্ন কারণে অন্য মানুষকে অভিশাপ দেয়। যদিও এটা কোন ভাল কাজ নয়। তবে আপনি কি কখনো শুনেছেন যে, এটার জন্য কোন আইন থাকতে পারে ? আপনি যদিও না শুনে থাকেন, যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটা আইন রয়েছে- জনসমক্ষে কাউকে অভিশাপ দিলে হবে কারাদন্ড। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের অঞ্চলে চালু রয়েছে এই অদ্ভুত আইনটি। বিশেষ করে গাড়ি চালানোর সময় কাউকে অভিশাপ করার অভিযোগ পাওয়া গেলে ১০০ মার্কিন ডলার জরিমানা বা ৯০ দিনে কারাদন্ড দেওয়া হবে।
২। মাতাল হওয়া চলবে না- কোস্টারিকা।
মদ একটি অভিশাপ্ত জিনিস। আমরা জানি অতিরক্ত মদ খেলে কারোই মাস্তিক বিগরিয়ে যায়। আমাদের দেশে প্রায় একটা কথা শুনা যায় যে, গাড়ি চালকরা মদ পান করে। এ কথাটা কতটা সত্যি তার সঠিক হিসাব আমাদের জানা নাই। কিন্তু আপনি শুনে অবাক হবেন যে, কোস্টারিকার প্রায় ৭৫% গাড়ি চালকের রক্তে মদ্য বা অ্যালকোহল পাওয়া যায়। তাই এই দেশে মদ্য পান করা কোনো বিষয় নয়, মদ্য পান করে যদি মাতাল হয়ে যায় তবেই হবে জরিমানা ও কারাদন্ড।
৩। গাড়িতে ময়লা নিয়ে বের হলেই জরিমানা- রাশিয়া।
আপনার গাড়ি, আপনি যেভাবে খুশি ব্যবহার করতে পারেন তাই না ? হ্যা এটা সত্য তবে রাশিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আপনার নিজের টাকা দিয়ে কেনা গাড়ি বলেই সেটা অপরিষ্কার রাখবেন, এমনকি সেটা নিয়ে রোডে বের হবেন। তাহেল আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে দুই হাজার রুব্ল। হ্যা বন্ধুরা, রাশিয়াতে এমন একটি আইন চালু রয়েছে, যেখানে ময়লা গাড়ি নিয়ে বের হলেই আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে।
৪। চালক মাতাল হলে জরিমানা হবে যাত্রীদের- জাপান।
অবাক হলেও এটা সত্য। জাপানে চালু রয়েছে এমন একটি অদ্ভুত আইন। আপনি যদি মনে করেন গাড়ির পেছনের ছিটে বসে আসেন বলেই সব ঠিকঠাক আছে? তাহেল হয়তো জরিমানা গুনতে হবে আপনাকেও। আপনার চালক মাতাল কি না, তার দায়-দায়িত্বও আপনার। জাপানের ট্রাফিক আইন অনুযায়ী, চালক মাতাল হলে জরিমানা দিতে হবে যাত্রীকেও। সুতরাং আপনি যদি জাপান কখনো জাপানে ভ্রমণ করেন, তাহলে গাড়িতে চড়ার আগে খোজ নিয়ে দেখুন আপনার চালক মাতাল কি না।
৫। পথে তেল ফুরালেই বিপদ- জার্মান।
আপনি হয়তে দূরের পথে ঘুরতে বেরিয়েছেন, তবে গাড়িতে তেমন ফুয়েল বা তেল নেই। ভাবছেন, পথে মধ্যে কোথাও থেকে নিয়ে নিবেন। বাংলাদেশে তা সম্ভব, কিন্তু জার্মানীতে তা সম্ভব নয়। জার্মানীর ট্রাফিক আইন অনুযায়ী দূরপাল্লার পথে ভ্রমণকালে জ¦ালানী ফুয়েল বা তেল শেষ হয়ে গেলে জরিমানা দিতে হবে। অতএব, কোথাও বের হবার আগে চেক করুন আপনার গাড়িতে যথেষ্ট পরিমাণ জ¦ালানী আছে কি না।
৬। খালি গায়ে গাড়ি চালালে সোজা যাবেন জেলে- থাইল্যান্ড।
বন্ধুরা কি ভাবছেন, আপনার গাড়ি আপনি চালাবেন তাতে কার বাবার কি যায় আসে ? আপনি বাংলা দেশি তাই এ কথাটা খুবই স্বাভাবিক। তবে আপনি যদি থাইল্যান্ডের অধিবাসি হন তাহলে আর সে কথা বলার উপায় নেই। কারণ থাইল্যান্ডে গাড়ি চালানোর সময় গায়ে জামা থাকা ব্যধ্যতামূলক। আর যদি কোন কারণে খালি গায়ে গাড়ি চালান তাহলে আপনাকে গুনতে হবে জরিমানা।
৭। পথ না চেনে বেরোলেও জরিমানা-যুক্তরাষ্ট্র।
ধরুন আপনি এক জায়গায় যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বের হলেন, যদিও জায়গাটা খুব বেশি চেনেন না। তাই গাড়িটা থামিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছে পথের নির্দেশনা জানতে চাইলেন। ভাবছেন পুলিশ আপনাকে সহায়তা করবে ? ব্যপারটি কিন্তু মোটেও তা নয়। বরং আপনাকে সাহায্য করার বদলে উল্টো হাজতে নিয়ে ভড়বে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী পথ না জেনে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া ভয়াবহ অপরাধ। ফলে আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে। তাই কোথাও বের হওয়ার আগে ভাল করে ম্যাপ দেখে, মানুষ জনকে জিজ্ঞেস করে রাস্তা জেনে নিন।
৮। দিনের বেলাতেও বন্ধ করা যাবে না গাড়ির হেডলাইট- সুইডেন।
হোক সে উজ্জ্বল দিন অথবা রাত, গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শীতকোরানো অবস্থায় গাড়ির হেডলাইট আপনি কখনো বন্ধ করতে পারবেন না। বিষয়টা আপনার কাছে অদ্ভুত মনে হলেও সুইডেনে ২৪ ঘণ্টাই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখার নিয়ম রয়েছে। যদিও সুইডেনের তীব্র শীতে হয়তো এ নিয়মটি ঠিক, কিন্তু জুন মাসে আবহাওয়া ভালো থাকলেও এ নিয়মই সেখানে মানতে হয় সব সময়।
৯। খেতে খেতে গাড়ি চালানো যাবে না- সাইপ্রাস।
সাইপ্রাসে গাড়ি চালানোর সময় খাওয়া বা কোনো কিছু পান করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গাড়ি চালানোর সময় হাঁটুর ওপর খাবার রাখা ট্রাফিক আইনের লঙ্ঘন। এ জন্য জরিমানা গুনতে হতে পারে। অতএব খেতে খেতে গাড়ি চালাবেন তো সোজা যাবেন হাজতে।
১০। পুরনো আন্ডারপ্যান্ট দিয়ে গাড়ি মোছা যাবে না- সান ফ্র্যান্সিস্কো, যুক্তরাস্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে গাড়ি ধোয়ার পর পুরোনো আন্ডারওয়্যার বা অন্তর্বাস দিয়ে গাড়ি মোছা হলে ট্রাফিক আইন ভাঙা হয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। তবে মজার বিষয় হলো গাড়ি মোছার জন্য যদি কেউ নতুন আন্ডারওয়্যার ব্যবহার করে তাহলে কোন সমস্যা নাই।
[বন্ধুরা, পোস্টটি কেমন হলো কমেন্টস করে জানাবেন। আপনি যদি টেকনোলজি বিষয়ে কিছু জানতে চান অথবা আমাদের পোস্টে যদি কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অবশ্যই কমেন্টস বক্সে “ভূল তথ্যটি উল্লেখ করবেন” ইনশাল্লাহ খুব দ্রুতই সেটা সমাধান করা হবে। আপনার একটি কমেন্টস আমাদেরকে আরো ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরণা জাগাবে। বিশ্বের সকল প্রকার অজানা ও রহস্যময় তথ্য সম্পর্কে জানতে প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে ভিজিট করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন।]
Post A Comment:
0 comments: