আসছালামু আলাইকুম, বন্ধুরা.
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন।
tech-newsbd.com-এর পক্ষ থেকে আমি খাইরুল ইসলাম (হানজালা).
মার্কেটিং কি?
মার্কেটিং শব্দটির সাথে আমরা কম
বেশি সবাই পরিচিত। এর পরিধি খুবই ব্যাপক যা হয়তো আমরা সবাই অনুধাবন করতে পারি না। আমরা
একটু গভীর ভাবে আমাদের চারপাশের পরিবেশের দিকে লক্ষ্য করলে তা সহজেই বুঝতে পারি। আমরা
অনেকেই হয়তো এটার সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত যা হয়তো আমরা নিজেও জানি না। আমি ছোট্টা
একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছি:
“মনে করুন আপনি, আপনার পছন্দের একটি র্স্মাটফোন ক্রয় করেছেন। আপনার বন্ধু আপনাকে জিজ্ঞাস করল, র্স্মাটফোনটি কোন ব্র্যান্ডের এবং কেন এটা আপনার পছন্দ হলো।
আপনি উত্তরে বললেন, আপনার র্স্মাটফোনটি স্যামস্যাং ব্র্যান্ডের এবং পছন্দের কারণটা
আপনার বন্ধুর কাছে তুলে ধরলেন।”
এখানে
এরি মধ্যে কিন্তু আপনি, আপনার বন্ধুর সাথে র্স্মাটফোনের ব্র্যান্ড ও পছন্দের তথ্যগুলো
শেয়ার করলেন, যা মার্কেটিং এর অর্ন্তভুক্ত। আসলে মার্কেটিং এর মূল বিষয় হলো তথ্য শেয়ার
করা।এটা হতে পারে কোন পণ্যে বা কোন প্রকার সেবার। মার্কেটিং
একটি ইংরেজী শব্দ- যার বাংলা অর্থ্ হলো বাজারজাতকরণ। বাজারজাতকরণ বলতে বুঝায়- যখন কোন
পণ্য বা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা বা পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে কাংকিত
ভোক্তার নিকট পৌছানো পযর্ন্ত যে সকল কা্র্য্ক্রম পরিচালনা করে থাকে তার সমষ্টিকে মার্কেটিং
বলে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল
মার্কেটিং বলতে অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটিংকে বুঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ মার্কেটিং এর কার্যগুলো
যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে মাধ্যমে ঘটে থাকে তখন তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। তবে
আমদের অফলাইন বা বাস্তব মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে কিছুটা পাথর্ক্য রয়েছে
:
অফলাইন বা বাস্তব মার্কেটিং:
১।
কাঙ্কিত ভোক্তার নিকট সরাসরি কথা বলা যায় এবং উক্ত পণ্য বা সেবা সম্পর্কে আলোচনা করা
যায।
২।
সরাসরি ভোক্তার নিকট হতে মতামত গ্রহন করা যায এবং পণ্য বা সেবার মান উন্নয়ন করা যায়।
৩।
পণ্য বা সেবার চাহিদা সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় এবং সহজে ভূয়া ভোক্তা সনাক্ত করণ করা
যায়।
ডিজিটাল
মার্কেটিং:
১।
ডিজিটাল উপায়ে বা অনলাইনের মাধ্যমে ভোক্তার নিকট উক্ত সেবা বা পণ্য সম্পর্কে আলোচনা
করা যায়।
২।
সারা বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা যায় এবং সেবার মান উন্নয়ন করা যায়।
৩।
সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা ব্যাপক তবে একটি অসুবিধা হলো সহজে ভূয়া ভোক্তা
সনাক্ত করণ করা যায় না।
ডিজিটাল মার্কেটিং-এর সেরা ১০টি উপায় বা কৌশল: পর্ব-১
১. কন্টেন্ট বা আর্টিকেল মার্কেটিং
কন্টেন্ট বা আটিংকেল মার্কেটিং হলো
সবথেকে শক্তিশালী ও জনপ্রিয় মার্কেটিং উপায়ের মধ্যে একটি। যেকোনো বিজনেসের ক্ষেত্রে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর উপর বিদ্যমান থাকে।তাছাড়া বেশিরভাগ মানুষ মনে করে যে, কেবল মাত্র বেশি লিড কালেক্ট করাই কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মূল স্ট্রাটেজি। কিন্ত বাস্তবিক পক্ষে সফল মার্কেটিং হয়ে থাকে মান সম্মত কন্টেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে। কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোন পণ্য
বা সেবা সম্পর্কে বিস্তরিত ভাবে তুলে ধরা যায়, যার ফলে টার্গেটেড কাস্ট্রমাররা
সহজেই উক্ত সেবা সম্পর্কে জানতে পারে। এছাড়াও আর অনেক বিষয় থাকে যেগুলা আপনার কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজিকে নিয়ে যায় অন্য লেবেলে।
২. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
(SEO)
SEM বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এটি ব্যাপক মার্কেটিং কৌশল যার মাধ্যমে খুব দ্রুত আপনার ব্যবসা বা ওয়েবসাটে ট্রাফিক ড্রাইভ করানো যায়। তাকে আমরা Paid Marketing Methord বলে থাকি। এ ধরনের মার্কেটিং ব্যবসার গঠনশৈলীর উপর ভিত্তি করে করা হয়। এক্ষেত্রে কোন PPC-Pay Per Click, CPC-Cost
Per Click অথবা CPS-Cost Per Impressions ইত্যাদি
পদ্ধতি নির্বাচন করতে পারেন। SEM-বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং সাধারনত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের হয়ে থাকে। যেমন-গুগুলের AdWords, ইয়াহু, বিং নেটওয়ার্ক সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এছাড়াও SEM বিজ্ঞাপন অনুসন্ধান, মোবাইল মার্কেটিং, পুনঃবাজারজাতকরণের এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে SEM মার্কেটিং হলো অনলাইন মার্কেটিং এর সব চেয়ে সাশ্রয়ী এবং অধিক কার্যকরী মার্কেটিং উপায়। যা কিনা আপনার রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে পারে।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
ইন্টারনেট
ব্যাহারকারীদের মধ্যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া
ব্যবহার করেনা এমন মানুষ হয়তো খুজে পাওয়া যাবে না। মার্কেটিং-এর জন্য এর চাইতে ভাল
স্থান হতে পারে না। সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি
এ্যাক্টিভ কমিউনিটি তৈরি করতে হবে। ফেসবুকের ক্ষেত্রে কমিউনিটি তৈরি করার জন্য গ্রুপ কিংবা পেজ তৈরি করতে পারেন।এমনি করে টুইটার, ইন্ট্রাগ্রাম, রেডিট,
টামলার কিংবা লিংকেডিনে কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন। আপনার টার্গেটকৃত ক্রেতাদের সাথে এসকল সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বিভিন্ন আলোচনাতে অংশগ্রহন করতে পারেন এবং আপনার পন্যে
বা সেবার বিষয়গুলো তাদের সাথে শেয়ার করে, নিয়মিত পোস্ট দিয়ে, এসএসএস করে, কমেন্টস
করে আপনার মার্কেটিং র্কাযক্রম চালিয়ে যেতে পারেন।
৪. ইমেইল মার্কেটিং
আজকের বিশ্বে সবথেকে জনপ্রিয় মার্কেটিং উপায় হলো ইমেইল মার্কেটিং। ইংরেজীতে-
“Email marketing is a blood of
marketing” অর্থাৎ “ইমেইল মার্কেটিং হলো মার্কেটিং এর রক্ত” ।রক্ত ছাড়া যেমন মানুষ
বেচে থাকতে পারেনা।ঠিক তেমনি ইমেইল
মার্কেটিং ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং-এর কথা ভাবা যায় না। সারা বিশ্বে প্রায় ৩.৯
বিলিয়নেরও বেশি মানুষ ইমেইল ব্যবহার করে থাকে। যার মধ্যে প্রায় ৭৩% মানুষ হলো
North American. ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মুহূর্তেই আপনি আপনার পণ্য এবং সেবা কে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে তুলে ধরতে পরবেন এবং এতে করে আপনার পন্যটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
হতে থাকবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার পণ্য অধিক পরিমানে বিক্রি হতে থাকবে ।
ডিজিটাল মার্কেটিং-এর সেরা ১০টি উপায় বা কৌশল- পর্ব-২
[লেখাগুলো কেমন হলো অবশ্যই Comments করে জানাবেন। তাহলে আরো ভালো কিছু লেখার উৎসাহ পাব।]
[লেখাগুলো কেমন হলো অবশ্যই Comments করে জানাবেন। তাহলে আরো ভালো কিছু লেখার উৎসাহ পাব।]
Post A Comment:
0 comments: